#ভালোবাসা!💗
______________________________
এক লোক খুব সুন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর ঐ ব্যক্তি তার বউকে প্রচন্ড ভালোবাসতো।
তাদের সংসার জীবন খুব সুখের ছিল। দু’জন দু’জনকে প্রচন্ড ভালোবাসতো।
কিন্তু হঠাৎ এলাকায় এক ধরনের “চামড়ার রোগ” মহামারীর আকার ধারণ করলো।
হঠাৎ একদিন সুন্দরী মেয়েটার শরীরে ঐ রোগের লক্ষণ দেখা দিল। মেয়েটা বুঝতে পারলো এই রোগ তার পুরো শরীরের চামড়ায় ছড়িয়ে পড়বে এবং সে তার সৌন্দর্য হারাবে।
যেদিন মেয়েটার শরীরে এই লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। সেই দিন মেয়েটার স্বামী কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক্সিডেন্ট করলো। এই এক্সিডেন্টের পর লোকটা তার দু’চোখের দৃষ্টিশক্তি হারায়। দৃষ্টিশক্তি না থাকা সত্যেও লোকটার সাথে মেয়েটার সংসার খুব সুন্দর ভাবে’ই চলতে থাকে।
এদিকে রোগের কারণে দিনের পর দিন মেয়েটার চেহারা কুৎসিত হতে থাকে। কিন্তু অন্ধ স্বামী বুঝতে পারে না, তার স্ত্রী দেখতে কতটা বিশ্রী হয়েছে।
এভাবে চল্লিশ বছর তাদের সংসার সুখে শান্তিতে চলতে থাকে।
তাদের চল্লিশ বছরের সংসারে ভালোবাসা, সুখ, পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা একই রকম ছিল, যেন তারা সদ্য বিবাহিত দম্পতি।
এভাবে চলতে চলতে, একদিন বৃদ্ধা মহিলাটি মারা গেলো। স্ত্রীর মৃত্যুতে অন্ধ লোকটা খুবই দুঃখ পেলো, ভেঙ্গে পড়লো।
কিন্তু দুনিয়াবী জীবনে কোন কিছুই চিরস্থায়ী না। সবাইকেই একদিন না একদিন ইহকালের জীবন ছেড়ে আখিরাতের জীবনে পাড়ি দিতে হবে।
অন্ধ লোকটা যখন তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে কবরে শায়িত করে ফিরে আসছিল। তখন পিছন থেকে একজন ব্যক্তি অন্ধ লোকটাকে প্রশ্ন করলো, “কোথায় যাচ্ছ?”
অন্ধ লোকটি উত্তর দিল, “সে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে যে বাড়িতে তার স্ত্রী এতো বছর তারসাথে সংসার করেছে।”
এই কথা শুনে, প্রশ্নকারী লোকটি অন্ধ লোকটিকে বললো, “তুমি কিভাবে একা একা বাড়ি ফিরবে! তুমি তো অন্ধ!”
অন্ধ লোকটি উত্তর দিল, “সে একাই বাড়ি ফিরতে পারবে কারণ আদতে সে অন্ধ নয়। সে সব কিছুই দেখতে পায়।”
এতো বছর সে তার স্ত্রীর সামনে অন্ধের অভিনয় করেছিল। কারণ সে যখন জানতে পেরেছিল তার স্ত্রী চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে, তখন সে এটা ভেবে ভয় পেয়েছিল যে, তার স্ত্রী হয়তো হীনমণ্যতায় ভুগবে। হয়তো মনে মনে ভাববে তার স্বামী তাকে আগের মতো ভালোবাসে না। নিজের অবস্থার জন্য কষ্ট পাবে।
তার স্ত্রী যেন নিজেকে কখনো ছোট অযোগ্য না ভাবে তাই সে চল্লিশ বছর একই ভাবে স্ত্রীকে ভালোবেসেছে অন্ধের অভিনয় করে।
ভালোবাসা!
11
জুন